হ্যাঁ আগামীকাল (২৯ শে এপ্রিল) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বৃষ্টি বলয় নীহারিকা । যা চলতে পারে ৪ঠা মে পর্যন্ত । এ সময়ে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে কম হতে পারে আবার নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বেশি হতে পারে। তবে সম্পূর্ণ সময়সীমার মধ্যে সারা দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোথায় কেমন ঝড় বৃষ্টি হতে পারে তার কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
মূলত বর্তমান পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বৃষ্টি বলয় নীহারিকাতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চলে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে। এক্ষেত্রে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ চট্টগ্রাম এবং রংপুর বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি বলয় বেশ সক্রিয়তা প্রদর্শন করতে পারে।
এই বৃষ্টি বলয়ে বেশিরভাগ মেঘ তৈরির সূত্রপাত হতে পারে দুপুর বা বিকালের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে। সেই সাথে রাতের দিকে সিলেট ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে মেঘ তৈরির প্রবণতা থাকতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের বৃষ্টিপাত মূলত বরিশাল বিভাগ থেকে মেঘ অতিক্রম করে হতে পারে।
বৃষ্টি বলয় নীহারিকাতে একটানা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বরং দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে স্বল্প স্থায়ী ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের বিভিন্ন অংশে রোদের উপস্থিতি থাকতে পারে। আবার হঠাৎ করেই পশ্চিম আকাশ কালো হয়ে ঝড় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এবং বেশি সক্রিয় স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টিবলয় নীহারিকা চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে মাঝে মাঝে পুরোপুরি মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যেতে পারে দিনের বেলা ঝড়-বৃষ্টির ক্ষেত্রে। নিম্নস্তরের মেঘ দ্বারা দেশের মধ্য ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের আকাশ প্রতিদিন সকালে ঢেকে থাকতে পারে এবং বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে তা কমে আসতে পারে।
বৃষ্টিবলয় নীহারিকা চলাকালীন সময় বেশ কয়েকটি শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বেশিরভাগ বৃষ্টিবাহী স্থানে বয়ে যেতে পারে। এবং বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হওয়া বয়ে যেতে পারে।
বৃষ্টি বলয় নীহারিকা চলাকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ অন্যতম। এছাড়া খুলনা রংপুর ঢাকা বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগেরও কোথায় কোথায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
২৯ এপ্রিল থেকে ৪ঠা মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফসল উত্তোলন কার্যক্রম বৃষ্টি বলয় নীহারিকা দ্বারা বিশেষভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কারণ বৃষ্টিবলয় নীহারিকা চলাকালীন সময়ে একটানা ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় বৃষ্টিবিহীন রোদের সম্ভাবনা দেশের কোথাও দেখা যাচ্ছে না। যদি কেউ এই সময়ে ধান কর্তন করেন তবে তা শুকিয়ে ঘরে তুলতে অন্তত 72 ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এতটা দীর্ঘ সময় যেহেতু বৃষ্টি বিরতি নেই, তাই এ সময়ে হরহামেশাই শুকনা ধান হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃষ্টি বলয় নীহারিকা সম্পর্কে অঞ্চল ভিত্তিক বিস্তারিত আপডেট আজ রাতে ইনশাল্লাহ পেজে দেওয়া হবে। নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বভাস সম্পর্কে ধারণা রাখতে সবসময় আমাদের সাথেই থাকুন।
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ©Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
Advertisements