ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমী বৃষ্টি বলয় আঁখি২

ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমী বৃষ্টি বলয় আঁখি২। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রবল মৌসুমী রেইন বেল্ট।
এটি একটি মাঝারি বজ্রপাত যুক্ত বৃষ্টিবলয়, তবে সাময়িক তীব্র বজ্রপাত হতে পারে কোথাও কোথাও। এই বৃষ্টি বলয়ে বেশিরভাগ এলাকায় কোনো শক্তিশালী ঝড় নেই তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতের পূর্বে প্রবল দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এবং উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাসের প্রবনতা বেশি থাকতে পারে।

এটি চলতি বছরের ১৩ তম বৃষ্টিবলয়, ও বছরের ৬ তম মৌসুমী বৃষ্টিবলয়, এই বৃষ্টি বলয়ের প্রথমদিকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে। ও পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যান্য স্থান আক্রান্ত হতে পারে। সম্ভত এটি চলতি বছরের শেষ মৌসুমী বৃষ্টিবলয়।

সময়সূচি : ২৯ শে সেপ্টেম্বর হতে ১০ ই অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত।
বেশি সক্রিয়, ৩ থেকে ৭ ই অক্টোবর পর্যন্ত।

সর্বোচ্চ সক্রিয়: সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগ ও দেশের উপকূলীয় এলাকা।
মাঝারি সক্রিয়ঃ রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগ।
কিছুটা কম সক্রিয় : নেই।
নাম : শক্তিশালী প্রবল মৌসুমী বৃষ্টি বলয় আঁখি২।
টাইপ : মৌসুমী বৃষ্টিবলয়।
ক্যাটাগরিতে : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়।
বৃষ্টিবলয় নামকরণে : BWOT

নোট : বৃষ্টি বলয় আঁখি২ চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই একটানা বৃষ্টি থাকতেপারে।

বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বর দেশে প্রবেশ করতে পারে ও আগামী ১০ ই অক্টোবর দেশ ত্যাগ করতেপারে। এই বৃষ্টিবলয়টি চলাকালীন সময়ে দেশের অনেক এলাকায় একটানা (হালকা/মাঝারি/ভারী) বর্ষন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বৃষ্টিবলয় “আঁখি২, ৩ থেকে ৭ ই অক্টোবর সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতেপারে দেশের উপর।

এই বৃষ্টি বলয়টি আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশ করবে, এবং পর্যায়ক্রমে দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের উত্তর অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে ইনশা-আল্লাহ।
এই বৃষ্টি বলয়ের মাঝামাঝি এটি দেশের মধ্য ও উত্তর অঞ্চলে বেশি সক্রিয় হতেপারে, ফলে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যার সম্মুখীন হতেপারে। ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধ্যতা হতেপারে।

বৃষ্টিবলয় আঁখি২ , ১০ ই অক্টোবর পর্যন্ত দেশের উপর সক্রিয় থাকবে তাই বলে এই নয় যে প্রতিদিন আপনার এলাকায় বৃষ্টি হতে হবে, তবে আঁখি২ চলাকালীন সময়ে আপনার এলাকায় ঘন ঘন বৃষ্টি হতেপারে। ও একটানা বৃষ্টিপাত হতেপারে বিশেষকরে বেশি সক্রিয় এলাকায়। তবে কম সক্রিয় অঞ্চলে সব কিছুর প্রভাবই কম থাকতে পারে।

বৃষ্টিবলয় আখিঁ২” চলাকালীন সময়ে দেশের উপর তেমন তাপপ্রবাহ সক্রিয় থাকবে না ইনশাআল্লাহ। তবে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক এলাকায় মাঝে মাঝে কিছুটা ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে।

আঁখি২ চলাকালীন সময়ে দেশের সমুদ্র বন্দর অধিকাংশ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতেপারে প্রবল মৌসুমী বাতাসের জন্য।
আঁখি২ চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি কম পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

আসুন একনজরে দেখেনেই আঁখি২ চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

ঢাকা ২০০ মিলিমিটার
খুলনা ১৮০মিলিমিটার
বরিশাল ২৯০ মিলিমিটার
সিলেট ৩২০ মিলিমিটার
ময়মনসিংহ ৩৬০ মিলিমিটার
রাজশাহী ১৯০ মিলিমিটার
রংপুর ৩৮০ মিলিমিটার
চট্টগ্রাম ২৮০ মিলিমিটার

আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় আঁখি২ চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।

জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)

সিলেট। ৩৫০+

সুনামগঞ্জ। ৩৪৫+

হবিগঞ্জ। ২৮০+

মৌলভীবাজার। ২৯০+

রংপুর, ৩৭০+

দিনাজপুর, ৪০০+

ঠাকুরগাঁও। ৩৬০+

পঞ্চগড় ৪০০+

নীলফামারী ৪২০+

লালমনীরহাট। ৪০০+

কুড়িগ্রাম। ৪৬০+

গাইবান্ধা ৩৯০+

জয়পুরহাট। ৩৩০+

নওগাঁ ২৬০+

বগুড়া ২৮০+

চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৮০+

রাজশাহী ১৯০+

নাটোর। ১৮০+

সিরাজগঞ্জ। ২৫০+

পাবনা ২০০+

খুলনা(উত্তর), ১৭০+

খুলনা(দক্ষিণ), ২২০+

সাতক্ষীরা(উত্তর) ১৫০+

সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ২৩০+

বাগেরহাট(উত্তর) ১৬০+

বাগেরহাট(দক্ষিন) ২৫০+

যশোর, ১৭০+

নড়াইল। ১৬০+

মাগুরা ১৬০+

ঝিনাইদহ। ১৭০+

চুয়াডাঙ্গা ১৮০+

মেহেরপুর। ১৬৫+

কুষ্টিয়া ১৭০+

বরিশাল, ৩০০+

পিরোজপুর। ২৬০+

ঝালকাঠি ৩০০+

পটুয়াখালী ৩৩০+

বরগুনা ৩৪০+

ভোলা ৩৩০+

চট্টগ্রাম, ২৮০+

ফেনী ২৯০+

লক্ষ্মীপুর ৩৫০+

চাঁদপুর। ২৬০+

কুমিল্লা ২৪০+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২১০+

খাগড়াছড়ি ২৬০+

রাঙ্গামাটি ২৬০+

বান্দরবান। ৩০০+

কক্সবাজার। ৩৬০+

নোয়াখালী, ৩৪০+

ঢাকা ২২০+

গোপালগঞ্জ। ১৯০+

মাদারীপুর। ২২০+

শরিয়তপুর ২২০+

ফরিদপুর। ২০০+

রাজবাড়ী ১৭০+

মানিকগঞ্জ। ২০০+

মুন্সীগঞ্জ। ২০৫+

নারায়ণগঞ্জ। ২১০+

নরসিংদী ২৫০+

গাজীপুর। ২৫০+

টাঙ্গাইল। ২৬০+

কিশোরগঞ্জ। ৩০০+

ময়মনসিংহ। ৩৬০+

জামালপুর। ৩৯০+

শেরপুর। ৪০০+

নেত্রকোনা ৪১০+

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ১৮০+ মিলিমিটার।

এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতেপারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতেপারে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বজ্রপাত কম থাকলেও দেশের উত্তর , উত্তর পশ্চিম ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি থাকতেপারে।

নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় আঁখি২ এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।
পরবর্তী বৃষ্টি বলয়ের নামঃ পুবালি / তুফান

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team – BWOT
Graphic: মশিয়ার রহমান জনি,
পোস্ট টাইপ: পারভেজ আহমেদ পলাশ।
[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা বেজে ১৫ মিনিটে।