দ্রষ্টব্য: এই পূর্বাভাস ট্র্যাক এর উপর উচ্চ আত্মবিশ্বাস রয়েছে!!
আপডেট ৩/সুস্পষ্ট লঘুচাপ (92B) | তারিখ: ২২ অক্টোবর ২০২৩ | দিন: রবিবার | সময়: 2:00AM BST (+6 GMT)
পশ্চিম মধ্যো বঙ্গপোসাগর এবং তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গপোসাগর এলাকায় অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি কিছুটা উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে।
এবং এটি আজ ২১ শে অক্টোবর রাত ১০ টা বেজে ৪৫ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো।
এটি আরও জোরদার হয়ে প্রাথমিকভাবে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে।
লঘুচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাগর ঐ স্থানে উত্তাল আছে।
সিস্টেম এর শক্তি : সিস্টেম টি আগামীকাল গভীর নিম্নচাপ ও আগামি ২৩ শে অক্টোবর ( উপযুক্ত পরিবেশ পেলে) সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে।
তখন এর বাতাসের একটানা গতিবেগ হতেপারে ৭০/৭৫ কিলোমিটার ঘন্টায়। এটি ঘূর্ণিঝড় এ পরিনত হলে এর নাম হবে ( হামুন)
গতিপথ : সিস্টেম টি প্রাথমিকভাবে উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে, এরপর কিছুটা উত্তর দিকে, তারপর উত্তর পূর্বো দিকে অগ্রসহ হতেপারে।
সিস্টেম আঘাত : সিস্টেম টি গভীর নিম্নচাপ অধবা সাধারণ ঘূর্ণিঝড় আকারে আগামী ২৫ শে অক্টোবর দুপুরের পর বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম এর ভেতরে যেকোনো স্থানে আঘাত করতে পারে।
আঘাত করার সময় এইসকল এলাকায় ঘন্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতেপারে।
পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেণী, চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, চট্টগ্রাম ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
বৃষ্টিপাত : সিস্টেম এর প্রভাবে আগামী ২৩ শে অক্টোবর হতে চট্টগ্রাম বিভাগ ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হতেপারে, এবং যা পরবর্তীতে দেশের আরও অনেক এলাকায় বিস্তারলাভ করতে পারে। এবং আগামী ২৭ শে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের উপর বৃষ্টিপাত চালু থাকতেপারে।
ভারিবৃষ্টি এর সতর্কতা : সিস্টেম এর প্রভাবে, ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নরসিংদী, ব্রাম্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মাদারিপুর, হবিগঞ্জ, আগরতলা, ত্রিপুরা, শরিয়তপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দমকা হাওয়া সহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষন হতেপারে।
ও খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশকিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষন হতেপারে।
বন্যা : এই সিস্টেম এর ফলে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের নিচু এলাকায় সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হতেপারে ও চট্টগ্রাম পাহাড়ধ্বস এর আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
সতর্ক সংকেত ও জলোচ্ছ্বাস : সিস্টেম উপকূল অতিক্রম করার সময় আঘাত করা স্থানে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস এ আক্রান্ত হতেপারে ও সতর্ক সংকেত ৩ থেকে ৭ এর ভেতরে থাকতেপারে।
সতর্কতা : সকল প্রকার মাছধরা নৌকা ও ট্রলার ও নৌজান সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা উচিৎ ও আগামী ২৭ শে অক্টোবর এর আগে সাগরে না প্রবেশ করা উত্তম।
ও যারা রবি শস্য লাগাতে চাচ্ছেন তারা ফসল ১ সপ্তাহ পরে বপন করেন। এখানে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে কোন সমস্যা নেই।
এই সিস্টেম টি কোন কারনে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হলেও মারাক্তক কোন ঘূর্ণিঝড়ে(হারিকেন ক্যাটাগরির) পরিনত হবার সম্ভাবনা নেই, তাই আতঙ্কিত হবার কোন কারন নেই। একটু সচেতন থাকলে হবে।
সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির প্রভাব থাকবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ও দেশের উপকূলীয় এলাকায়।
রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টির প্রভাব সবচেয়ে কম থাকবে।
বৃষ্টি বলয় : সিস্টেম এর জন্য আগামী ২৩ থেকে ২৭ শে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের উপর একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় আংশিক বৃষ্টি বলয় পুবালি সক্রিয় হতেযাচ্ছে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে পূর্বাভাস টি কিছুটা পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক।
আপনারা নিয়মিত Bangladesh Weather Observation Team (BWOT)’র সাথে থাকুন, নতুন কোন তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথে আপনাদের জানিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
Advertisements