সিস্টেম আপডেট ৮ । আপডেট ২৬ শে মে গভীর রাত ১২ টা বেজে ০০ মিনিটে।
মধ্য বঙ্গপোসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ টি কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিনত হয়ে এখন উত্তর মধ্য বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলো।
এটি আজ ১১ টা বেজে ৩০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণে পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতেপারে।
বর্তমানে (১২ঃ০০am) সিস্টেমের বাতাসের গতিবেগ !!
সিস্টেম আপডেট ৮ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার (১মিনিট স্থিতি) যা দমকা হাওয়া আকারে ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ঐ স্থানে বেশ উত্তাল আছে।
এটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে রবিবার সকালে/দুপুরে ক্যাটেগরি ১ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতেপারে।
গতিপথ : ঘূর্ণিঝড় আপাতত উত্তর দিকে অগ্রসর হতেপারে, এবং এরপর কিছুটা উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে গড়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিশেষ সতর্কতা!
সমুদ্র উত্তাল : ঘূর্ণিঝড় টি উপকূলের কাছাকাছি এসে পড়ায় উপকূলীয় এলাকা যথেষ্ট উত্তাল হয়ে পড়েছে।
মংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নাম্বার ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরে ৬ নাম্বার সতর্ক সংকেত জারি করেছে BMD.
সিস্টেম আঘাত : সিস্টেম টি ক্যাটেগরি ১ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল রুপে রবিবার ২৬ তারিখ বিকাল হতে রাতের মধ্যে, দিঘা হতে হাতিয়ার মধ্যে যেকোন উপকূলে আঘাত করতে পারে।
সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হলো সুন্দরবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা, যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, বাগেরহাট উপকূল।
আঘাত করার সময় বাতাসের গতিবেগ : ঘন্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এক্ষেত্রে দমকা হাওয়া আরো বেশি হতে পারে।
এবং এটি প্রায় ক্যাটাগরি ১ ক্ষমতাসম্পন্ন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আকারে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় দেশের সমগ্র উপকূল বিশেষ ঝুকিপূর্ণ থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাত : এটি যদি উক্ত স্থানে আঘাত করে, তাহলে দেশের উপকূলীয় এলাকায় একপ্রকার অতি প্রবল বর্ষণ দ্বারা আক্রান্ত হতেপারে। ও দেশের বিস্তৃর্ন এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ( একটানা) হতেপারে।
সেইসাথে পশ্চিমবঙ্গ এর দক্ষিণ হতে মধ্য অঞ্চল ও খুলনা বিভাগ, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগে কোথাও কোথাও ২০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতেপারে প্রবল দমকা হাওয়া সহ।
কোন জেলায় কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে তা আগের পোস্ট এ দেওয়া আছে ৬৪ টি জেলার।
ঘূর্ণিঝড় এর মেঘমালা আজ থেকে দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ শুরু করেছে ও পরবর্তীতে সময় যাওয়ার সাথে সাথে দেশের বাকি এলাকায় বিস্তারলাভ করতে পারে।
এই সিস্টেম টির কারনে সারাদেশেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, এখানে খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক।
জলোচ্ছ্বাস : ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার সময়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,পটুয়াখালী পিরোজপুর, বরগুনা ও এদের নিকটবর্তী ও দূরবর্তী দ্বীপ ও চর ও নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে স্থানভেদে ৬ থেকে ৮ ফুট উচু বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস দ্বারা প্লাবিত হতেপারে।
বন্যা : ঘূর্ণিঝড় এর কারনে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হতেপারে ও দেশের উপকূলীয় নিচু এলাকায় কয়েকদিন এর জন্য বন্যার সম্ভাবনা আছে।
বৃষ্টি বলয় : তুফান। (২৬ টু ২৮ শে মে) প্রবল শক্তিশালী রেইন বেল্ট বা বৃষ্টি বলয়।
সতর্কতা : কেউ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর বিজ্ঞপ্তি না দেখে সাগরে নামবেন না নৌযান নিয়ে। সেইসাথে কোন গুরুতর সিদ্ধান্তে আসবেন না।
ঘূর্ণিঝড় এর সতর্কতা সরুপ আপনারা আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখুন, বিশেষ করে উপকূলের জেলা সমূহে।
উপকূলীয় এলাকা গুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেণী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও এদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চর সমুহ।
এক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল বেশি ঝুকিপূর্ণ।
যেমন, সাতক্ষীরা শ্যামনগর ঈশ্বরীপুর, খুলনা,কয়রা,মংলা, দক্ষিণ বাগেরহাট ও দক্ষিণ পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, তাই আগে থেকে সকল চার্জার এর জিনিস চার্জ দিয়ে রাখুন।
বাড়ি যদি কাচা বা আধাপাকা হয় তাহলে দুপুরের আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে পড়ুন।
আরো দেখুনঃ সিস্টেম আপডেট ৭ । আপডেট ২২ শে মে রাত ১০ টা।
আসুন দেখেনেই ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম কালে দেশের উপকূলীয় এলাকায় কত কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ?
সিস্টেম আপডেট ৮ অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনা ( ইন্ডিয়া), সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরগুনা, উপকূলে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম এর সময় ঘন্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দমকা হাওয়া আরো অধিক(১১০-১৪০ কিমি) থাকতে পারে।
ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, সন্দ্বীপ উপকূলে ঘন্টায় ৭০ থেকে ১১০ কিলোমিটার এর আশেপাশে দমকা হাওয়া থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূলে, ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার এর আশেপাশে দমকা হাওয়া থাকতে পারে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় এর গতিপথের আশেপাশে দেশের অভ্যন্তরীণ এলাকায় যেমন নড়াইল, যশোর, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, এর আশেপাশে ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার ও ঢাকা বিভাগে গড়ে ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া থাকতে পারে।
ও দেশের অধিকাংশ জেলায় গড়ে ৫০ কিলোমিটার এর উপরে দমকা হাওয়া থাকতে পারে।
দেশের বেশি সক্রিয় এলাকায় একটানা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টা একটানা নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
**যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (সরকারী) এর পূর্বাভাস গুলো অনুসরণ করবেন।**
আরও বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আমরা আপনাদের মাঝে আসছি, সুতরাং আপনারা পেজে নজর রাখুন ও পরবর্তী আপডেট গুলো দেখুন।
ধন্যবাদঃ Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
Update : 26th may at 12:00 am BST
Next update : 26th may at 06:00 am BST insha allah.
Advertisements