Advertisements


সাইক্লোন ডানা আপডেট, সতর্কতা ও করণীয় !

  • Post category:Tropical Forecast BN
  • Post last modified:2024-10-19
  • Reading time:6 mins read
  • Post author:
সাইক্লোন ডানা

সাইক্লোন ডানা তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা এবং শক্তিমত্তা ও ল্যান্ডফলের বিষয়ে প্রি-আপডেট

সাইক্লোন ডানা তৈরী হওয়ার প্রেক্ষিতে আমাদের প্রি-আপডেট এ আমরা আলোচনা করব এর ফরমেশন, শক্তিমত্তা এবং ল্যান্ডফলের সম্ভাব্য অবস্থান নিয়ে। তার আগে শর্ট করে জেনে নেই সাইক্লোন তৈরী হওয়ার কারন সমূহ।

আলোচনার আরেকটি কারন হল, বিভিন্ন এজেন্সি কেবলমাত্র জিএফএস এর মডেল দেখেই শক্তিমত্তা সম্পর্কে মিডিয়াতে তথ্য দিচ্ছে।  এর আগে ১৪-১৫ তারিখের দিকেও আমরা এমন নিউজ দেখে আসছিলাম, কিন্ত আমরা বরাবরই বলে এসেছি শেষ ১০ দিনে একটি ঝড় তৈরী হতে পারে। 

অন্যান্য এজেন্সিকে বলব, সাইক্লোন কিভাবে এনালাইসিস করতে হয় তা জেনে বুঝে ফোরকাস্ট করুন, প্রয়োজনে আমাদের পেইজের ইনফরমাল আলচনাটিও দেখতে পারেন। আপনাদের উচিত, সঠিক ধারনা নিয়ে জনমনে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সঠিক তথ্য মিডিয়াকে সরবরাহ করা। মিডিয়া এমনিতেই টি আর পি এর জন্য অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করে (কয়েকটি দায়িত্বশীল পত্রিকা ছাড়া), তাই অনুরোধ থাকবে মডেল দেখেই মিডিয়াকে তথ্য দিবেন না। 


আর মিডিয়াকেও অনুরোধ করি অহেতুক আতঙ্ক ছড়াবেন না, ভুল তথ্য দিবেন না বা সংবাদকে বিকৃত করে উপস্থাপন করবেন না।

সাইক্লোন তৈরী হওয়ার কারণ সমুহঃ

মূলত সাগরে কোন স্থানে বায়ুর নিম্নচাপ তৈরী হলে সেখানে আশেপাশে হতে প্রচুর বাতাস এসে জড়ো হয় যা ময়েশ্চার তথা জলীয়বাস্প নিয়ে আসে। এই জলীয়বাস্প উপরে উঠে মেঘমালা তৈরী করে। ময়েশ্চারের পরিমান অনেক বেশী হলে তা থেকেই সাইক্লোন তৈরী হয়।

বিভিন্ন গবেষনা থেকে দেখা যায় যে ঘূর্নিঝড় গঠনের জন্য মোট ছয়টি প্যারামিটার/ভ্যারিএবলস এর প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে তিনটি ডায়নামিক (গতিবিদ্যা সম্পর্কিত) এবং তিনটি থার্মোডায়নামিক (তাপগতিবিদ্যা সম্পর্কিত)। ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ সংক্রান্ত একটি লেখার লিংক সংযুক্ত করা হল। এখানে অতি সংক্ষেপে বিষয়গুলি মনে করানো হল। 



(ক) ডায়নামিক প্যারামিটার

১। রিলেটিভ ভর্টিসিটি (তুলনামুলক ঘূর্ণি): এই ঘূর্ণি যদি প্রতি সেকেণ্ডে ০.০০০০০১ এর বেশী হয় তবে তা সাইক্লোন তৈরী করতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের কন্ডিশন উপসাগরে উপস্থিত রয়েছে। এবং আগামী ২/৩ দিনে কেল্ভিন ওয়েভ, উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু ও ম্যাডেন জুলিয়ান ওসিলেশনের (Amplitude>2) ইন্টারেকশানে রিলেটিভ ভর্টিসিটি অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে।

CFS OLR FORECAST WITH WAVES CFS VP200 FORECAST WITH WAVES
GEFS MJO FORECAST ECMWF MJO FORECAST

২। বায়ু শিয়ার (উইন্ড শিয়ার): উল্লম্ব বায়ুর শিয়ারের মান খুব কম হলে (প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ১৫ নটিকাল মাইল এর কম) হলে তা ঘূর্ণিঝড় তৈরীতে অনুকূল থাকে। বর্তমানে শিয়ারের মান এই রেঞ্জে রয়েছে। 

সাইক্লোন ডানা
Current Wind Shear Value(KT)

৩। কোরিওলিস ফোর্স (ঘূর্নজনিত বল): এটা উপসাগরের জন্য ফিক্সড। সারা বছরই উপস্থিত থাকে। আলোচনা নিস্প্রোয়োজন।



(খ) থার্মোডায়নামিক প্যারামিটার

১। সমুদ্রের তাপীয় শক্তিঃ  সমুদ্রের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী এর বেশী হলে সেখানে সাইক্লোন তৈরী হওয়ার মত যথেষ্ট শক্তি তৈরী হয়। তবে শুধু এই তাপমাত্রা হলেই হবেনা, পানির নিচে কমপক্ষে ৫০ মিটার পর্যন্ত এই তাপমাত্রা বজায় থাকতে হবে। বর্তমানে যে এলাকায় আমরা “সাইক্লোন ডানা” তৈরীর আশঙ্কা করছি সেখানকার তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশেপাশে।

এবং ঐসব অঞ্চলে ২৬সে তাপমাত্রা সমুদ্রের ৮০-৯০মিটার গভীর পর্যন্ত বিদ্যমান।  সমূদ্রের এই তাপীয় শক্তিকে ট্রপিকাল সাইক্লোন হিট পটেনশিয়াল বলে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের সিস্টেম তৈরির এলাকায় কোনো কোন স্থানে এর মান  প্রতি বর্গ সেন্টিমিটার যায়গায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোজুল পর্যন্ত যা সাইক্লোন তৈরী করার ক্ষেত্রে উপযোগী। পানির নিচে কোথাও কোথাও ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা খুজে পাওয়া যাচ্ছে।

সাইক্লোন ডানা
Tropical Cyclone Heat Potential of Bay of Bengal

২। আর্দ্রতার অস্থিতিশীলতা (ইনস্টাবিলিটি): কনভেক্টিভ এভেইলেবল পটেনশিয়াল এনার্জি বা CAPE এই অস্থিতিশীলতা তৈরী করে। CAPE ভ্যালু যত বেশি হবে তত বেশি জলীয় বাষ্প উপরে উঠে বজ্রমেঘ তৈরির জন্য অনুকুল পরিবেশ থাকবে। তবে কনভেক্টিভ ইনহাইবিশন (সিআইএন-CIN) নামক আরেকটি প্যারামিটার এটাকে বাধা দেয়। CIN এর মান প্রতি কেজিতে ৫০ জুল এর বেশী হলেই তা জলীয় বাষ্প উপরে উঠার হার কমিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরীতে বাধা দেয়। এর থেকে কম হলে তা সাধারনত পরিবেশ বজ্রমেঘের অনুকুল থাকে।

সম্ভাব্য সাইক্লোন তৈরির সময়ে CIN ভ্যালু সমুদ্রে কম এবং CAPE ভ্যালু স্থানে স্থানে প্রায় প্রতি কেজিতে ১৫০০-২১০০ জুল পর্যন্ত। সুতরাং সাইক্লোন তৈরী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। সাগরে বর্তমানে CIN এর ভ্যালু ০-৫ জুল/কেজি এর মাঝে।

সাইক্লোন ডানা
CAPE Index

৩। আপেক্ষিক আর্দ্রতা (রিলেটিভ হিউমিডিটি): ৪.৫/৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান অনেক বেশি হলেই সাইক্লোন তৈরি হতে পারে। গবেষনা থেকে দেখা যায় সাগরে এর মান ৬৫% এর আশে পাশে হলেই তা সাইক্লোন সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় (অন্যান্য প্যারামিটার সহ)। বর্তমানে এর মান ৭০ থেকে ৯৫% পর্যন্ত উঠানামা করছে এবং সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সাইক্লোন ডানা ফরমেশন এর একটি উল্লেখযোগ্য অনুকূল অবস্থা নির্দেশ করছে।

সাইক্লোন ডানা
Relative Humidity

বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন ডানা সৃষ্টির সম্ভাবনাঃ

এতক্ষণের আলোচনায় দেখা যায় যে সমুদ্রে ডানা তৈরীর স্থানে সকল প্যারামিটার স্বমহিমায় উপস্থিত। প্রায় ১০০ মিটার গভীর পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার উপস্থিতি,অধিক মানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা, উচ্চ কনভেক্টিভ এভেইলেবল পটেনশিয়াল এনার্জি, পর্যাপ্ত ঘূর্ণি মান, নিম্ন বায়ু শিয়ার , এবং ফর্মেশন অবস্থান সব মিলিয়ে একটি সিস্টেম তৈরীর নিশ্চয়তা ৯৯% হয়ে গেছে।  অর্থাৎ ২০-২১ তারিখের দিকে লঘুচাপ তৈরী হচ্ছে এবং তা পরবর্তী ২/৩ দিনে সাইক্লোন ডানায় পরিনত হতে পারে এটা মোটামোটি নিশ্চিত

আবহাওয়া মডেল গুলোর বর্তমান পূর্বাভাসঃ


সাইক্লোন ডানা এর সম্ভাব্য ল্যান্ডফল এরিয়া ও তীব্রতাঃ

সম্ভাব্য ল্যান্ডফল এরিয়া ও তীব্রতা সাইক্লোনের পূর্ব দিকের সাবট্রপিকাল রিজ (STR) এবং ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স (WD) এর প্রভাবে এর গতিপথ পরিবর্তন এর উপর নির্ভরশীল। এইসব প্যারামিটার বিশ্লেষনে দেখা যায়ঃ

১।  ২৪-২৫ অক্টোবর ২০২৪ এর মধ্যে একটি সাধারন ঘূর্ণিঝড়(CS) থেকে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় (SCS) হিসাবে ভারতের ওডিশা থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশ (বরিশাল) উপকূলের মধ্যে আঘাত করতে পারে। এই হিসেবে Extremely Severe বা Super Cyclone হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এর সর্বোচ্চ মাত্রা ক্যাটাগরি-১ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। 

অথবা


২। যদি পূর্ব দিকের STR-এর প্রভাব দুর্বল হয়ে যায় তবে সাইক্লোনটি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত হানতে পারে। এতে এর শক্তিমত্তা কিছুটা বেশি হওয়ার ঝুকি থাকবে।

GEFS এবং ECMWF মডেলের বর্তমান পূর্বাভাসঃ 



তবে, প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরি হতে যাওয়া টাইফুন কে বিবচনায় রাখলে বলা যায়, পূর্ব দিকের রিজটি(STR) শক্তিশালি হতে পারে, এবং যা পশ্চিমা জেট স্ট্রিম এর প্রভাব কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে পারে। এই বিবেচনায় এটি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে সাতক্ষীরা বর্ডারের মাঝেই আঘাত করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই সম্পূর্ন অবস্থা এখন মেটেওরোলজিকাল ঘটনাসমুহের উপরে নির্ভর করছে।

BWOT এর মাল্টি -রিজিওন ফরমেশন পুর্বাভাস জানাচ্ছে বাংলাদেশ ও নিকটতম মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাব্যতা প্রায় ০১%, ওডিশা উপকূলে ৩০%, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাতক্ষীরা উপকূলে ৫০%, খুলনা-বরিশাল উপকূলের জন্য ১৫% এবং অন্য কোথাও ৪%

*আমরা আশা করি লঘুচাপ/নিম্নচাপ এলাকা গঠনের পরে একটি পরিষ্কার দৃশ্য আপনাদের জন্য উপস্থাপন করতে পারবো।


বাংলাদেশে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানার বাতাসের প্রভাব:

যদি এটি পূর্বাভাসে উল্লেখিত সম্ভাব্য গতিবেগ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্ভাব্য অঞ্চল WEST BENGAL থেকে সাতক্ষীরা উপকূলের মধ্যে আঘাত হানে তবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকুলে প্রায় ৮৫-১৪৫ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ২৪-২৫ তারিখের মধ্যে। এতে উক্ত অঞ্চল সমূহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

একই সময়ে বরিশাল বিভাগের উপকুলে ৬০-৮০কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপকুলে ৩০-৫০কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

*অন্যত্র আঘাতের সম্ভাবনা তৈরি অথবা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমবেশি হলে এই পুর্বাভাস পরিবর্তন যোগ্য।



সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ডানার সাথে বৃষ্টিপাতঃ

ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আসুক বা না আসুক, এর প্রভাবে দেশের একাংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং কোথাও কোথাও প্রবল ভারী বর্ষণ হতে পারে। এবং সারাদেশেই মেঘলা আবহাওয়া ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। 

মূলত ২৪-২৭ অক্টোবরের মধ্যে এর প্রভাবে বৃষ্টিবলয় “তুফান” চলতে পারে। যা সর্বাধিক খুলনা বিভাগে সক্রিয়তা প্রদর্শণ করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও এই বৃষ্টি বলয়ে যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে খুলনা বিভাগ সহ দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত জনিত কারণে কৃষি ফসলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে বিশদভাবে পরবর্তীতে বৃষ্টি বলয়ের আপডেট করা হবে  ইনশাআল্লাহ।


ঘূর্ণিঝড় ডানা চলাকালীন সাগরের অবস্থা ও জলোচ্ছ্বাসঃ

ঘূর্ণিঝড় ডানা চলাকালীন উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া খুবই দূর্যোগপূর্ন থাকতে পারে। এতে আগামী ২২ তারিখ হতে ২৫ তারিখ পর্যন্ত সাগরে বিচরণ হতে পুরোপুরি বিরত থাকা উচিত।  এছাড়া ঘূর্ণিঝড় সম্ভাব্য এলাকায় (WEST BENGAL থেকে সাতক্ষীরা উপকূলের মধ্যে)  আঘাত করলে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চ বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হতে পারে।


সতর্কতা ও করণীয়ঃ আমাদের এই  পূর্বাভাসটি খুবই সাধারন পূর্বাভাস যা ল্যান্ডফল এর স্থানকে ১০০% নিশ্চিত করছেনা। তাই এই আপডেটের উপর ভিত্তি করে সতর্কতা অবলম্বন করার পরিবর্তে বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমরা পাবলিক সেন্টিমেন্ট জুড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিবর্তে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চাই। যেকোন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের অফিসিয়াল পুর্বাভাস অনুসরন করুন।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, পরিপক্ব ফসলসমূহ ২২ তারিখ বা ২৩ তারিখের মধ্যে সংগ্রহ করে রাখুন। ভ্রমন পিপাসুরা ২৩ তারিখের পর হতে সমূদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চল ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

খালিদ হোসেন
প্রধান আবহাওয়া গবেষক, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (BWOT)
শিক্ষার্থী ও আবহাওয়া বিষয়ক গবেষক, BUET
সার্বিক সহযোগিতায় BWOT রিসার্চ টিম। 

Advertisements



Advertisements