পরপর কিছুদিন আমাদের দেশের অনেক স্থানের তাপমাত্রা +৩৮° সেলসিয়াস এর উপরে চলে গেছে। কিন্তু অনেকের প্রশ্ন এতো তাপমাত্রা হওয়া সত্ত্বেও আমরা কেনো তেমন ঘামছি না, ও এখনও কেনো আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে?
আসলে এই তাপমাত্রায় আমরা ঠিকই ঘামছি, আসল ব্যাপার হলো বাতাসে পর্যাপ্ত আদ্রোতা না থাকায় এই ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে বলে আমরা এটা বুঝতে পারছিনা।
তাহলে কি কারনে আদ্রোতা এত কম?
আসলে বাতাসে আদ্রোতা বাড়ে কমে বাতাসে কতটা জলীয়বাষ্প আছে তার উপরে, বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকলে বাতাসে আদ্রোতা কম থাকে, আর জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে আদ্রোতা বেশি থাকে, আমাদের দেশে এখন বেশ তাপপ্রবাহ চললেও, ভারতীয় উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের কারনে গভীর স্থলভাগের উপরদিয়ে আমাদের দেশে বাতাস প্রবেশ করছে, আর এইসকল স্থলভাগে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকায় বাতাসে আদ্রোতা বা জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অনেক কম বিধায় বেশি তাপমাত্রা হওয়া সত্ত্বেও আমরা গরম অনুপাতে সেইরকম ঘামছি না।
কিন্তু এই বাতাস যদি স্থলভাগের উপরদিয়ে না এসে সাগরের উপরদিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করতো তাহলে বাতাসে আদ্রোতা বা জলীয়বাষ্প এর পরিমাণ অনেক থাকতো, তখন আমাদের দেহের ঘাম শুকাতে অনেক সময় লাগতো, ফলাফল আমরা প্রচুর ঘামতাম। এতে তাপমাত্রা কম থাকলেও বাতাসের আদ্রোতা ও জলীয়বাষ্প বেশি থাকার দরুণ আমরা প্রচুর ঘামতাম। আশাকরি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন।
আর একটি বিষয়, আদ্রতা বেশি থাকলে একই তাপমাত্রায় গরম আরো তীব্রতর হত। উদাহরণস্বরূপ, এখনকার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আদ্রতা যদি ৭০ পার্সেন্ট থাকতো তাহলে তাপমাত্রা অনুভূত হতো ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অত্যন্ত ভয়াবহ। সে তুলনায় তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস( আর্দ্রতা ১৫%)। যা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে। কিন্তু বেশি তাপমাত্রায় অত্যধিক কম আর্দ্রতা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
তাহলে বর্তমান তাপপ্রবাহ হতে বাঁচতে আমাদের করণীয় কি? বিস্তারিত দেখুন এখানে
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
Advertisements