দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গপোসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি টি কিছুটা উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে । এটি আজ ৯ ই মে বিকেল ৬ টা বেজে ০০ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিলো। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫০৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৪৮ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ঐ স্থানে কিছুটা উত্তাল আছে। এটি আজ রাতের ভেতরে গভীর নিম্নচাপে পরিনত হতেপারে। এটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় “মোখা” তে পরিনত হতেপারে। এবং উপযুক্ত পরিবেশ আছে সেখানে ইতিমধ্যে।
সিস্টেম টি বাংলাদেশ উপকূল থেকে এখনও অনেক দুরে থাকায় এর কোন প্রভাব এখনও দেশের উপকূলে পড়েনি। তবে আগামী ১৩ ই মে থেকে এর প্রভাব পড়তেপারে। তবে কোন মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার যেন কোনভাবেই এইসময় গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য বের না হয় তার জন্য বিশেষভাবে জানাচ্ছি।
গতিপথ : সিস্টেম টি প্রাথমিকভাবে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতেপারে, এবং পরবর্তীতে উত্তর দিকে, তারপর শেষ পর্যায়ে এটি উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতেপারে।
শক্তিমত্তা : বঙ্গপোসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ থাকায় এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্যাটাগরি ৪/৫ তে পরিনত হতেপারে। এটি মধ্যো বঙ্গপোসাগরে এসে ক্যাটাগরি ৪ ক্ষমতাসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হতেপারে, ও আরও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ক্যাটাগরি ৫ ও হতেপারে। তবে সেটা তখনকার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
ল্যান্ডফল/ আঘাত : এটি আগামী ১৪ ই মে সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগ এর ভেতরে যেকোনো উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত করতেপারে। তবে আঘাত হানার স্থান পরিবর্তন হতেও পারে কিছুটা । বর্তমান সময় পর্যন্ত বরিশাল- চট্টগ্রাম উপকূল বেশি ঝুকিপূর্ণ।
চিত্রে দেওয়া চারটি সম্ভাবনা আঘাত হানার স্থানের ভেতরে যেকোনো ১ টি তে আঘাত করতেপারে। বেশি সম্ভাবনা লাল চিহ্নিত দাগ বরাবর।
সতর্কতা : দেশের উপকূলে যারা আছেন তারা আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়ে রাখবেন ও দেশে যারা ধান কাটছেন তারা ১২ ই মে এর ভেতরে সকল ধান নিরাপদ স্থানে নিয়ে নিবেন বিশেষ করে দক্ষিন ও পুর্বাঞ্চলে। রাজশাহী, রংপুর বিভাগ বাদে।
বৃষ্টিপাত : এর প্রভাবে আগামী ১৩ ই মে থেকে ১৬ ই মে এর ভেতরে, দক্ষিণ খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতেপারে। এইসকল এলাকায় গড়ে ১৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতেপেরে। এখানে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগ ও খুলনা বিভাগের উত্তর অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
জলোচ্ছ্বাস : ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি দেশে আঘাত করলে, আঘাত করা স্থানে ১২ থেকে ১৮ ফুট উচ্চ বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হতে পারে।
কত কিলোমিটার বেগে আঘাত করবে : ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার বা তারচেয়ে অধিক গতিতে উপকূল অতিক্রম করতেপারে।
পরবর্তী আপডেট : ৯ ই মে রাত ১০ টায় ইনশাআল্লাহ।
নতুন আপডেটে আরও নতুন তথ্য যোগ হবে, সুতরাং আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন।
সিস্টেম শক্তিশালী হলে আমরা আরও ঘন ঘন আপডেট দেবার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ : পারভেজ আহমেদ পলাশ, ফাউন্ডার, Bangladesh Weather Observation Team (BWOT).
Advertisements
