Advertisements


বৃষ্টি বলয় স্পিড বিদায়, শুরু ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম

বৃষ্টি বলয় স্পিড বিদায়
ECMWF Member Model: Meteologix

বৃষ্টি বলয় স্পিড বিদায়, শুরু ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম

অবশেষে বিদায় নিয়েছে বৃষ্টি বলয় স্পিড। গতকাল ৭ই অক্টোবর, বৃষ্টি বলয় স্পিড দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে, ঠিক যেমনটা আপনাদের আগেই জানানো হয়েছিল। এটিই ছিল এই বর্ষার শেষ মৌসুমী বৃষ্টি বলয়, তবে সামনে আসছে লঘুচাপ/নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি কেন্দ্রিক বৃষ্টি বলয়।

এদিকে বৃষ্টি বলয় স্পিড বিদায় নিলেও মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অল্প এলাকা কেন্দ্রিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। মৌসুমী বায়ু সারাদেশ ত্যাগ করতে পারে আগামী ১২ -১৫ তারিখের মধ্যে।

মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়ার পর আরো একটি আতঙ্কের নাম ঘূর্ণিঝড় মৌসুম। মূলত বঙ্গোপসাগরে এপ্রিল,মে, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসকে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম বলা হয়। সুতরাং এটা যেহেতু অক্টোবর মাস, সেহেতু ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আছে।


বিদায় নিয়েছে বৃষ্টি বলয় স্পিড, এরপর আসছে ঘূর্ণিঝড় কবে হবে? কোথায় আঘাত করবে? ইত্যাদি নানান রকম প্রশ্ন!

উত্তরঃ যদিও আগেও কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তা আজ আরো কিছুটা পরিষ্কার করে দেওয়া যাক।

*আবহাওয়া প্যারামিটার সমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, মূলত আগামী ১৮ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই এই মৌসুমের(অক্টোবর -ডিসেম্বর) সম্ভাব্য ১ম ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ অক্টোবরের শেষ ১০ দিনে আমরা সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছি।

এটি কোথায় আঘাত করতে পারে তা গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে হিস্টোরিকাল ডাটা এনালাইসিস বলে, এ সময়ের ঘূর্ণিঝড় মূলত ভারতের ওড়িশা রাজ্য হতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা পর্যন্ত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রাখে। সুতরাং এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, তবে সময় কাছাকাছি আসলে আরো স্পষ্ট বোঝা যাবে।

আরো পড়ুনঃ ধেঁয়ে আসছে অতিভারী বৃষ্টিবলয় স্পিড | ১ টু ৭ ই অক্টোবর ২০২৪

*এখন চলুন বৃষ্টি বলয় স্পিড চলাকালে দেশে কোথায় কেমন বৃষ্টিপাত হয়েছে তার তথ্য জেনে নেওয়া যাক!

বৃষ্টি বলয় স্পিডে(১-৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃক বিভিন্ন স্টেশনে রেকর্ডকৃত উল্লেখযোগ্য টোটাল বৃষ্টিপাত:

১/ জারিয়াঝাঞ্জাইল(নেত্রকোনা)- ৭৫৮ মিলিমিটার
২/ দূর্গাপুর(নেত্রকোনা)- ৫৫৬ মিলিমিটার
৩/ কুড়িগ্রাম- ৪৩৯ মিলিমিটার
৪/ মহেশখোলা, তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)- ৪১৬ মিলিমিটার
৫/ চাঁদপুর- ৪০০ মিলিমিটার
৬/ নাকুগাঁও, নালিতাবাড়ী(শেরপুর)- ৩৮১ মিলিমিটার
৭/ সিলেট- ৩৫৫ মিলিমিটার
৮/ সুনামগঞ্জ- ৩৫৪ মিলিমিটার
৯/ রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)- ৩৩৩ মিলিমিটার
১০/ টাঙ্গাইল- ২৭৯ মিলিমিটার
১১/ নোয়াখালী- ২৭৫ মিলিমিটার
১২/ কাউনিয়া(রংপুর)- ২৬৩ মিলিমিটার
১৩/ লাউড়েরগড়, তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)- ২৫৮ মিলিমিটার
১৪/ মাদারীপুর- ২৪৮ মিলিমিটার
১৫/ ভোলা- ২৪০ মিলিমিটার
১৬/ বরিশাল- ২৩৩ মিলিমিটার
১৭/ নেত্রকোনা- ২২০ মিলিমিটার
১৮/ কানাইঘাট(সিলেট)- ২১৮ মিলিমিটার
১৯/ জকিগঞ্জ(সিলেট)- ২১৮ মিলিমিটার
২০/ চিলমারী(কুড়িগ্রাম)- ২১৬ মিলিমিটার
২১/ রামগতি(লক্ষ্মীপুর)- ২১৪ মিলিমিটার
২২/ ঢাকা- ২০৯ মিলিমিটার
২৩/ লাতু, বিয়ানীবাজার(সিলেট)- ১৯৭ মিলিমিটার
২৪/ কুষ্টিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার
২৫/ নারায়ণগঞ্জ- ১৯৩ মিলিমিটার
২৬/ ময়মনসিংহ- ১৯১ মিলিমিটার
২৭/ জামালপুর- ১৯০ মিলিমিটার
২৮/ ছাতক(সুনামগঞ্জ)- ১৮৯ মিলিমিটার
২৯/ কুমিল্লা- ১৮২ মিলিমিটার

উল্লেখ্য: এখানে শুধু ১৮০+ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়া ৩০টি স্টেশনের রেকর্ড দেয়া হল। পোস্ট বেশি দীর্ঘায়িত না হওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত।

Source: Bangladesh Meteorological Department(BMD) and Bangladesh Flood Forecasting and Warning Center.
চিত্র: প্রতীকি

Advertisements


Advertisements