Advertisements


ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন মোখা আপডেট ১৮ , আপডেট ১৪ ই মে গভীর রাত ১২ টা বেজে ১০ মিনিটে।

পোস্ট টি দ্রুত সেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন, হয়তোবা দ্রুত আক্রান্ত স্থানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় মোখা ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন রুপে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও রাখাইন আরাকান ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দিকে প্রবল ভাবে অগ্রসর হচ্ছে।

এটি আজ গভীর রাত ১২ টায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো, এবং এটি ক্রমশ উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৬ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৩০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, কি ভয়াবহ ব্যাপার। আল্লাহ আকবার।


সাগর ঐ স্থানে ব্যাপক উত্তাল আছে, ঝড়টির অগ্রভাগ ১৪ ই মে সকাল থেকে কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম শুরু করতেপারে ও ঘূর্ণিঝড় এর কেন্দ্র দুপুরের দিকে অতিক্রম শুরু করতেপারে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত চলছে BMD এর মতে, তবে ১১ নাম্বার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত সময়ের ব্যাপার। চট্টগ্রাম, ৮, পায়রা ৮ ও মংলা ৪ নাম্বার সংকেত চলছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভয়াবহ বিপর্যয়ের ভেতরে পড়বে। সুপার সাইক্লোন মোখা কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার দিকে এগোচ্ছে।
এবং সম্পূর্ন অতিক্রম করতে আগামীকাল সকাল ৮ টা হতে সন্ধ্যা রাত হয়ে যেতেপারে। মানে ঐসকল এলাকায় দীর্ঘ সময় ঝড়ের তান্ডবলীলা চলতেপারে।

চিত্রে লাল চিহ্নিত এলাকা প্রচুর ঝুকিপূর্ণ , কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রাম উপকূল ও সন্দ্বীপ, মহেশখালি কুতুবদিয়া সেন্টমার্টিন টেকনাফ এইসকল এলাকার সকলকে আজ সকালের আগেই নিরাপদ স্থানে সরে পড়া আবশ্যক। আশ্রয় কেন্দ্রে ও বড় বিল্ডিং এ।
এখানে টেকনাফ, কক্সবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘন্টায় ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার বা তারও অধিক বাতাসের অধিক বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া হতেপারে। সাথে ১৫ থেকে ২৫ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস।
ও প্রবল বৃষ্টি ( ৩০০ মিলিমিটার এর আশেপাশে।) 

চট্টগ্রাম উপকূল ও সন্দ্বীপ এলাকায় ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ও ঝড়ো বাতাস হতেপারে ও ১২ থেকে ১৮ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস। ও ৮০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার রেইন।

কমলা চিহ্নিত স্থান ঝুকিপূর্ণ , রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম জেলার পূর্বঅঞ্চল, ফেণী, নোয়াখালী, ভোলা, হাতিয়া, পটুয়াখালী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা।
এখানে যারা আছেন তারা আগামীকাল দুপুরের আগে মোটামুটি নিরাপদ আছ্রয় স্থানে চলে যাবেন।
এইসকল এলাকায় ঘন্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাস হতেপারে। ও ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চ জলোচ্ছ্বাস দ্বারা আক্রান্ত হতেপারে।
মাঝারি মানের বৃষ্টির ( ৩০- ৭০ মিমি) সম্ভাবনা আছে।

হালকা ঝুকিপূর্ণ স্থান, হলুদ রং করা স্থান, যেমন, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, লক্সীপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মংলা, দক্ষিণ খুলনা, দক্ষিণ সাতক্ষীরা, দক্ষিণ পিরোজপুর,
এখানে কাউকে নিরাপদ স্থানে যেতে হবেনা, তবে সাগরে না থাকলেই হলো, এইসকল এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতেপারে।

নিরাপদ স্থান : সবুজ চিহ্নিত এলাকা। সম্পুর্ন পশ্চিমবঙ্গ, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগ।
খুলনা বিভাগ ও উত্তর বরিশাল বিভাগ, এইসকল এলাকায় মোখার কোন প্রভাব তেমন পড়বে না, শুধুমাত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতেপারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

আজ রাত চট্টগ্রাম বিভাগ প্রায় নিরাপদ থাকলেও আগামীকাল ১৪ ই মে সকাল ৬ টার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রুপ নিতেপারে এবং ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত একটানা ঝড়ের তান্ডবলীলা চলতেপারে, বিভিন্ন মাত্রার।

চরম ঝুকিপূর্ণ এলাকায়, সবাই মোবাইল চার্জ করে রাখুন, এবং সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে গুছিয়ে সরিয়ে রাখুন।
পোস্ট টি দ্রুত শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন, হয়তোবা আক্রান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যেতেপারে।

পোস্ট আপডেট : ১৪ ই মে রাত ১২ টা বেজে ১০ মিনিটে।
ধন্যবাদ : #BWOT

Advertisements


Advertisements