Advertisements


শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের সময় করণীয় কি?

  • Post category:Educational
  • Post last modified:2023-04-08
  • Reading time:2 mins read
  • Post author:

কালবৈশাখী ঝড় হতে নিরাপদ থাকতে সর্ব প্রথম আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসরন করুন এরপর নিচের সতর্কতাগুলো মেনে চললে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবেঃ

১। মোমবাতি কিংবা ব্যাটারি চালিত কোনও আলো হাতের কাছে রাখুন যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে অসুবিধা না হয়। প্যারাফিন দেওয়া মোমবাতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই প্রাকৃতিক মোমের তৈরি মোমবাতি ব্যবহার করা উচিৎ।

২। ঝড়বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে এবং তারা যেন ঘরের ভেতরে নিরাপদে থাকে। বজ্র মেঘ দেখা মাত্র শিশুদের খেলার মাঠ বা বাইরে থেকে ডেকে নিন। জানালা দরজা ভালোভাবে বন্ধ করে রাখুন।

৩। ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় জল, শুকনো খাবার, ওষুধ হাতের কাছে রাখুন।
৪। ঝড়ের সময় বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দিন এবং মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন।
৫। বাড়ির ব্যালকনিতে রাখা টব নীচে নামিয়ে রাখুন।


শিলাবৃষ্টি হলে করণীয়ঃ
১। কোনও ভাবে খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না, ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। তবে কংক্রিটের ছাউনি হলে ভালো হয়। বৃষ্টিতে ভিজা থেকে বিরত থাকুন।
২। গাড়ী চালানো অবস্থায় থাকলে গাড়ী ধীরে চালানো উচিৎ। শিশুদের বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া যাবেনা।

কালবৈশাখীর সময় বজ্রপাত হতে রক্ষার জন্যঃ
১। পাকা বাড়ির নীচে আশ্রয় নিন, ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় থাকা যাবেনা। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনও দালানের নীচে আশ্রয় নিতে পারেন। 

২। উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকুন। বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এ সব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না। বড় গাছ থেকে কমপক্ষে চার মিটার বা তের ফিট দূরে থাকা উচিৎ। ফাঁকা জায়গায় কোনও যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। 

৩। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন। 
৪। ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।

৫। বজ্রপাত বা ঝড়বৃষ্টির আভাস পেলে টিভি-ফ্রিজ,ল্যান্ডফোনের প্ল্যাগ খুলে দিন। অব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্ল্যাগ আগেই খুলে রাখুন। 
৬। গাড়ীতে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে গাড়ি কোনও গাড়িবারান্দা বা পাকা ছাউনির নীচে নিয়ে যান। এ সময় গাড়ির কাচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। 

৭। বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে সে সময় রাস্তায় বের না হওয়াই ভালো। এসময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। 
৮। বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে রবারের গাম্বুট এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে। 

Image: eumetsat

Advertisements


Advertisements