Advertisements


ধেঁয়ে আসছে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমী বৃষ্টি বলয় “ঈশান”।

ধেঁয়ে আসছে দেশের দিকে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমী বৃষ্টি বলয় ঈশান। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রবল মৌসুমী রেইন বেল্ট। এটি একটি বজ্রপাত যুক্ত বৃষ্টিবলয়। এই বৃষ্টি বলয়ে কোনো শক্তিশালী ঝড় নেই তবে উত্তর অঞ্চলে ও দেশের পশ্চিমে মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রপাত আছে। ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি বজ্রপাত থাকতে পারে।

এটি চলতি বছরের ১১ তম বৃষ্টিবলয়, ও বছরের চতুর্থ মৌসুমী বৃষ্টিবলয়, এই বৃষ্টি বলয়ের প্রথমদিকে দেশের উত্তর অঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকতেপারে। ও পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যান্য স্থানে আক্রান্ত হতেপারে।

সময়সূচি : ২২ শে অগাস্ট হতে ২৯ শে অগাস্ট পর্যন্ত।
বেশি সক্রিয় ২৪ শে অগাস্ট হতে ২৮ শে অগাস্ট ২০২৩ পর্যন্ত।

সর্বোচ্চ সক্রিয়: সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও দেশের উপকূলীয় এলাকা।
মাঝারি সক্রিয়ঃ রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ
কিছুটা কম সক্রিয় : খুলনা বিভাগ।
নাম : শক্তিশালী প্রবল বৃষ্টি বলয় ঈশান
টাইপ : মৌসুমী বৃষ্টিবলয়।
ক্যাটাগরিতে : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়।
বৃষ্টিবলয় নামকরণে : BWOT



নোট : বৃষ্টি বলয় ঈশান চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় এলাকায় বেশিরভাগ সময়ই একটানা বৃষ্টি থাকতেপারে।

বিবরন : এই বৃষ্টিবলয় আগামী ২২ শে অগাস্ট দেশে প্রবেশ করতে পারে ও আগামী ২৯ শে অগাস্ট দেশ ত্যাগ করতেপারে। এই বৃষ্টিবলয়টি চলাকালীন সময়ে দেশের অনেক এলাকায় একটানা (হালকা/মাঝারি/ভারী) বর্ষন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বৃষ্টিবলয় “ঈশান ২৪ থেকে ২৯ শে অগাস্ট সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতেপারে দেশের উপর। এবং ২৪/২৫ তারিখ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের উপর বেশি সক্রিয় হতে পারে।


বৃষ্টিবলয় ঈশান ২৯ শে অগাস্ট পর্যন্ত দেশের উপর সক্রিয় থাকবে তাই বলে এই নয় যে প্রতিদিন আপনার এলাকায় বৃষ্টি হতে হবে, তবে ঈশান চলাকালীন সময়ে আপনার এলাকায় ঘন ঘন বৃষ্টি হতেপারে। ও একটানা বৃষ্টিপাত হতেপারে বিশেষকরে বেশি সক্রিয় এলাকায়। তবে কম সক্রিয় অঞ্চলে সব কিছুর প্রভাবই কম থাকতে পারে।

এই বৃষ্টি বলয়ে রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকা সাময়িক প্লাবিত হতেপারে। ও চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধ্বস এর সম্ভাবনা আছে।

বৃষ্টিবলয় ঈশান ” চলাকালীন সময়ে দেশের উপর তেমন তাপপ্রবাহ সক্রিয় থাকবে না ইনশাআল্লাহ। তবে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক এলাকায় মাঝে মাঝে কিছুটা ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে।

ঈশান চলাকালীন সময়ে দেশের সমুদ্র বন্দর অধিকাংশ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতেপারে প্রবল মৌসুমী বাতাসের জন্য।
ঈশান চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি কম পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।


আসুন একনজরে দেখেনেই ঈশান চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

ঢাকা ২০০ মিলিমিটার
খুলনা ১৪০মিলিমিটার
বরিশাল ২৫০ মিলিমিটার
সিলেট ৩৫০ মিলিমিটার
ময়মনসিংহ ৩২০ মিলিমিটার
রাজশাহী ১৮০ মিলিমিটার
রংপুর ৩৫০ মিলিমিটার
চট্টগ্রাম ৩৮০ মিলিমিটার


আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় ঈশান চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।

জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)

সিলেট। ৩৮০+

সুনামগঞ্জ। ৩৮৫+

হবিগঞ্জ। ২৬০+

মৌলভীবাজার। ২৮০+

রংপুর, ৩৪০+

দিনাজপুর, ২৮০+

ঠাকুরগাঁও। ৩০০+

পঞ্চগড় ৪০০+


নীলফামারী ৩৮০+

লালমনীরহাট। ৩৭০+

কুড়িগ্রাম। ৪২০+

গাইবান্ধা ৩০০+

জয়পুরহাট। ২৮০+

নওগাঁ ২৫০+

বগুড়া ২৬০+

চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৪০+


রাজশাহী ১৪০+

নাটোর। ১৭০+

সিরাজগঞ্জ। ২৫০+

পাবনা ২০০+

খুলনা(উত্তর), ১৪০+

খুলনা(দক্ষিণ), ২০০+


সাতক্ষীরা(উত্তর) ১৩০+

সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ২০০+

বাগেরহাট(উত্তর) ১৬০+

বাগেরহাট(দক্ষিন) ২১০+

যশোর, ১৩০+

নড়াইল। ১৪০+

মাগুরা ১৫০+

ঝিনাইদহ। ১৩০+

চুয়াডাঙ্গা ১২০+

মেহেরপুর। ১২৫+

কুষ্টিয়া ১৩০+

বরিশাল, ২৫০+

পিরোজপুর। ২৩০+

ঝালকাঠি ২৫০+

পটুয়াখালী ৩০০+

বরগুনা ২৮০+

ভোলা ৩০০+

চট্টগ্রাম, ৪০০+

ফেনী ৩৫০+

লক্ষ্মীপুর ৩১০+

চাঁদপুর। ২৮০+

কুমিল্লা ২৮০+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২১০+

খাগড়াছড়ি ৩৫০+

রাঙ্গামাটি ৪১০+

বান্দরবান। ৪২০+

কক্সবাজার। ৪০০+

নোয়াখালী, ৩৪০+

ঢাকা ২১০+

গোপালগঞ্জ। ১৯০+

মাদারীপুর। ২২০+

শরিয়তপুর ২৫০+

ফরিদপুর। ২০০+

রাজবাড়ী ১৬০+

মানিকগঞ্জ। ২০০+

মুন্সীগঞ্জ। ২০৫+

নারায়ণগঞ্জ। ২১০+

নরসিংদী ২৫০+

গাজীপুর। ২৫০+

টাঙ্গাইল। ২৬০+

কিশোরগঞ্জ। ২৮০+

ময়মনসিংহ। ৩২০+

জামালপুর। ৩১০+

শেরপুর। ৩৩০+

নেত্রকোনা ৩৪০+

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ১৯০+ মিলিমিটার।


এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতেপারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতেপারে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বজ্রপাত কম থাকলেও দেশের উত্তর , উত্তর পশ্চিম ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি থাকতেপারে।

নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় ঈশান এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।
পরবর্তী বৃষ্টি বলয়ের নামঃ

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team – BWOT
Graphic: মশিয়ার রহমান জনি,
পোস্ট টাইপ: পারভেজ আহমেদ পলাশ।
[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ২০ শে অগাস্ট রাত ০৯ টা বেজে ১০ মিনিটে।

Advertisements


Advertisements